Climate Change

PAHD  research team blames climate  change for extreme weather such as the Philippines Typhoon…read more

জলবায়ু দুর্যোগ
২০১৮ সালে একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের শিরোনাম ছিল বিস্ময়কর : ‘সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে বন্যা বেড়ে যাবে বিধায় ২১ শতকের মাঝামাঝি বেশির ভাগ ছোট দ্বীপ বাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে।’ এ নিবন্ধের লেখকরা দেখতে পেয়েছেন, সিচেলিস থেকে মার্শাল পর্যন্ত দ্বীপপুঞ্জগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ারই কথা। ২০১৯ সালে, জাতিসঙ্ঘের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রাণী ও উদ্ভিদের এক মিলিয়ন প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে। এর সাথে ভেবে দেখুন, দাবানল দুর্যোগ আর প্রবালের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা। এখন এটা স্পষ্ট, জলবায়ু দুর্যোগের প্রেক্ষাপটে একথা সেকথা বলে সময় নষ্ট করার বিলাসিতা আর নয়। আমাদের বিপদ ভবিষ্যতে নয়, বর্তমানে। বিশ্বের প্রধান শক্তিগুলো ফসিল জ্বালানি থেকে অন্য জ্বালানির দিকে যেতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ প্রয়োজন তাদের অঙ্গীকার ‘অভিন্ন দায়িত্ব’ পালনের জন্য। এ কথাই বলা হয়েছিল ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত, জাতিসঙ্ঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনে। এটা উপলব্ধির বিষয় যে, জ্যামাইকা আর মঙ্গোলিয়ার মতো দেশ প্যারিস চুক্তি অনুসারে, ২০২০ সালের মধ্যে নিজ নিজ জলবায়ু পরিকল্পনা হালনাগাদ করেছে। অথচ বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের দায় তাদের সামান্য। এ প্রক্রিয়াতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণের জন্য তহবিল বরাদ্দের যে ওয়াদা করা হয়েছিল, বাইরের ঋণ ফুলে ফেঁপে ওঠায় তাদের সে তহবিল কার্যত শুকিয়ে গেছে। এটা ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়’-এর সিরিয়াস না হওয়ার একটি প্রমাণ।

দৈনিক নয়া দিগন্, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:১২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© 2024: povertyalleviationhd.org | GREEN EYE Theme by: D5 Creation | Powered by: WordPress